বেলাল হোসাইন, অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি
প্রথম বারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশী স্পেশ্যাল বাচ্চাদের মায়েদের নিয়ে নেটওয়ার্কিং এবং সাপোর্ট সিস্টেম শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় উইমেন ওয়েলফেয়ার নিয়ে কাজ করা সংগঠন “সিডনী বাংলা উমেন্স নেটওয়ার্ক”। প্রবাস জীবনে বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় নতুন ইমিগ্রেশন নিয়ে পাড়ি দেয়া অথবা পড়াশুনা করতে যাওয়া পরিবারসমুহ, আত্মীয়স্বজনবিহীন একাকীত্ব , ভাষাগত এবং চাকুরীগত অনিশ্চয়তা সহ বিভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জ এর মোকাবিলা করে থাকে।এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী কঠিন সময় পার করে চলতে হয় অটিস্টিক বাচ্চা থাকা পরিবারদের।

অটিজমের বিষয়ে উন্নত দেশসমুহে অনেক সচেতন বলে, তারা অন্যসব পরিবারের মতই নরমাল জীবনযাপন করলেও প্রবাসী বাংলাদেশীরা এখনও নিজের অথবা পরিবারের অন্যকোনো বাচ্চার অটিজম টাকে সহজ ভাবে মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে মানসিক ভাবে প্রস্তুত নয়। তাছাড়া সময়মতো চিকিৎস্যা, থেরাপি এবং মানসিক সাপোর্ট না পাওয়ার কারনে ঝুকির মুখে থাকছে এমন স্পেশাল শিশুদের বাকিটা জীবন।

ডাঃ নাহিদ সায়মা ও অটিজম নিয়ে লেখালেখির মাধ্যমে বাংলাদেশী কম্যুনিটীর মায়েদের কে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সাপোর্ট দিয়ে আসা নুদরাত লোহানি নবীর নেতৃত্বে সিডনী বাংলা উইমেন্স নেটওয়ার্ক আগামি ১৯ মার্চ রবিবার দুপুর ৪ টা থেকে ব্ল্যাকটাউন এর বাঙ্গারাবি রিসোর্স কমিউনিটি হাব এ অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারের মতো স্পেশ্যাল বাচ্চাদের মায়েদের নিয়ে একটি ইভেন্ট করতে যাচ্ছেন ।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সিডনীর বেশ কয়েকজন বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড এর প্রফেশনাল প্রবাসী বাংলাদেশী সফল নারীদের সমন্বয়ে গঠন করা হয় “সিডনী বাংলা উমেন্স নেটওয়ার্ক” নামে এই সেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। বিশেষত সিডনীর বাংলাদেশী কমুনিটির মহিলাদের প্রথম চাকুরীর এক্সপেরিএন্স ,সুযোগ সুবিধা সহ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা , সমাজের বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষদের সাহায্য ,স্পেশাল বাচ্চাদের মায়েদের নেটওয়ার্কিং এবং সাপোর্ট সহ আরো বেশ কিছু উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে শুরু করা হয়েছে সংগঠনটি। সমাজকল্যানমুলক এই সংগঠনটিতে সিডনীর প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন পেশার আত্মনির্ভরশীল নারীরা একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ।

“সিডনী বাংলা উমেন্স নেটওয়ার্ক “এর সভাপতি ডাঃ নাহিদ সায়মা বলেন “শুধুমাত্র আর্লি ইন্টারভেনশন এবং মায়েদের কাছে প্রপার ইনফরমেশন পৌঁছানোর মাধ্যমেও আমরা আমাদের পরের প্রজন্মের অনেক বাচ্চাকেই উপহার দিতে পারি স্বাভাবিক একটা জীবন গঠন – একই সাথে আমাদের এইসব মায়েদের মানসিক স্বাস্থ্য কে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করতে পারি একজন আর একজনের পাশে থেকে। “
