করোনা মহামারীর মধ্যেই আগামী ৮ নভেম্বর মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। একদিকে করোনা সংকট, যাতে করে ইতোমধ্যে মারা গেছে দেশটির ৭৯৯ জন মানুষ, অন্যদিকে জাতিগত দ্বন্দ্ব ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এ নির্বাচনের ব্যাপারে খোদ মিয়ানমারের ভেতরে ও বহির্বিশ্বে কোনো আগ্রহ তৈরি করেনি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রাখাইন রাজ্যে অসন্তোষ এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অনিশ্চয়তা। সব মিলিয়ে এ নির্বাচন অনেকটাই নিয়ম রক্ষার নির্বাচনে পরিণত হতে যাচ্ছে।https://tpc.googlesyndication.com/safeframe/1-0-37/html/container.html
এ নির্বাচন মিয়ানমারের জাতিগত দ্বন্দ্বের যেমন কোনো সমাধান দেবে না, ঠিক তেমনি বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার জন্যও কোনো সুসংবাদ বয়ে আনবে না। প্রথমত, অস্ট্রেলিয়ার Lowy Institute-এর বুলেটিন The Interpreter-এর এক প্রতিবেদনে (১২ অক্টোবর ২০২০) বলা হয়েছে, মিয়ানমারের এ নির্বাচন ‘free, fair and safe’ হবে না। অর্থাৎ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা আছে। এটি শান্তিপূর্ণ, স্বাধীন ও অবাধ হবে না। ইতোমধ্যে সেদেশে ৩৩ হাজার ৪৮৮ লোক কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছে, যা থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার চেয়ে বেশি। এখন নির্বাচনের কারণে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত ৫ অক্টোবর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে একটি ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন।